কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসছে
অসংখ্য মৃত শামুক-ঝিনুক। জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা এসব শামুক-ঝিনুক স্থানীয়
লোকজন সংগ্রহ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিকম্পের কারণে আবাসস্থল নষ্ট
কিংবা সমুদ্রদূষণের কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিতে পারে বলে
বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
২২ মার্চ সকালে টেকনাফের বাহারছড়া, বড়ডেইল, কচ্ছপিয়া, শীলখালী সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, মৃত শামুক–ঝিনুকে ভরে গেছে বিশাল সৈকত। এ কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। দক্ষিণ দিকের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সৈকতেও বিপুলসংখ্যক মৃত শামুক-ঝিনুক ভেসে আসার খবর পাওয়া গেছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, চার দিন ধরে দ্বীপের সৈকতে বিপুল পরিমাণ শামুক–ঝিনুক ভেসে এসেছে। লোকজন এসব সংগ্রহ করে নিচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এত বেশি শামুক-ঝিনুকের মৃত্যু হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।
শাহপরীর দ্বীপের জেলে সোনা মিয়া জানান, ২১ মার্চ দুপুরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় জালে কয়েক মণ মর়া শামুক আটকা পড়ে। অন্য জেলেদের জালেও শামুক–ঝিনুক আটকা পড়ছে। এ কারণে মাছ ধরা যাচ্ছে না। ভূমিকম্প অথবা বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিতে পারে।
টেকনাফের কচ্ছপিয়া সৈকত থেকে শামুক–ঝিনুক সংগ্রহ করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা ফজর রহমান ও জেলে মনির আলম জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে শামুক–ঝিনুক ভেসে আসছে। উপকূলের পাঁচ শতাধিক জেলের জালেও শামুক-ঝিনুক আটকা পড়ছে। মাছ ও মুরগির খাবার এবং চুন তৈরির জন্য এই শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করছেন এলাকার লোকজন। প্রতি কেজি শামুক-ঝিনুক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
স্থানীয় গৃহবধূ নছিমা খাতুন জানান, বড় আকৃতির শামুক-ঝিনুক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের ঝিনুক মার্কেটে। সেখানে এসব দিয়ে তৈরি হচ্ছে, ঝাড়বাতি, গলার মালা, হাতের বালা, ফুলদানি, চাবির রিং, কানের দুলসহ শৌখিন নানা জিনিস। পর্যটকদের কাছে শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি পণ্যের কদর বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা জানান, ২০১১ সালের মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে সৈকতজুড়ে এ রকম মৃত শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিয়েছিল। তখন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানিদূষণের কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক হয়েছে। আর এখন কী কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক, তা কেউ বলতে পারছেন না। সমুদ্র জরিপ বন্ধ রয়েছে ২২ বছর ধরে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহমদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অথবা ভূমিকম্পের কারণে সমুদ্রের তলদেশের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিতে পারে। দেশি–বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য নিক্ষেপের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। কিন্তু গভীর সমুদ্রে গিয়ে এর কারণ অনুসন্ধানের মতো জলযান মৎস্য বিভাগের নেই।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ‘সমুদ্রের পানির গুণাগুণ পরিবর্তন হওয়ার কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক হতে পারে। ২০১১ সালে শামুক-ঝিনুকের মড়ক অনুসন্ধান করে এ রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে এখন কী কারণে পানির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
এনামুল হক জানান, শামুক-ঝিনুক সমুদ্রের তলদেশে পাথুরে এলাকায় থাকে। তাই সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ ও উখিয়া উপকূলে মৃত শামুক-ঝিনুক ভেসে আসছে বেশি। এসব এলাকার সৈকত পাথুরে হওয়ায় শামুক–ঝিনুকের সংখ্যাও বেশি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, সাগরের তলদেশে শামুক–ঝিনুকের মড়কের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
২২ মার্চ সকালে টেকনাফের বাহারছড়া, বড়ডেইল, কচ্ছপিয়া, শীলখালী সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, মৃত শামুক–ঝিনুকে ভরে গেছে বিশাল সৈকত। এ কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। দক্ষিণ দিকের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সৈকতেও বিপুলসংখ্যক মৃত শামুক-ঝিনুক ভেসে আসার খবর পাওয়া গেছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, চার দিন ধরে দ্বীপের সৈকতে বিপুল পরিমাণ শামুক–ঝিনুক ভেসে এসেছে। লোকজন এসব সংগ্রহ করে নিচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এত বেশি শামুক-ঝিনুকের মৃত্যু হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।
শাহপরীর দ্বীপের জেলে সোনা মিয়া জানান, ২১ মার্চ দুপুরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় জালে কয়েক মণ মর়া শামুক আটকা পড়ে। অন্য জেলেদের জালেও শামুক–ঝিনুক আটকা পড়ছে। এ কারণে মাছ ধরা যাচ্ছে না। ভূমিকম্প অথবা বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিতে পারে।
টেকনাফের কচ্ছপিয়া সৈকত থেকে শামুক–ঝিনুক সংগ্রহ করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা ফজর রহমান ও জেলে মনির আলম জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে শামুক–ঝিনুক ভেসে আসছে। উপকূলের পাঁচ শতাধিক জেলের জালেও শামুক-ঝিনুক আটকা পড়ছে। মাছ ও মুরগির খাবার এবং চুন তৈরির জন্য এই শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করছেন এলাকার লোকজন। প্রতি কেজি শামুক-ঝিনুক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
স্থানীয় গৃহবধূ নছিমা খাতুন জানান, বড় আকৃতির শামুক-ঝিনুক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের ঝিনুক মার্কেটে। সেখানে এসব দিয়ে তৈরি হচ্ছে, ঝাড়বাতি, গলার মালা, হাতের বালা, ফুলদানি, চাবির রিং, কানের দুলসহ শৌখিন নানা জিনিস। পর্যটকদের কাছে শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি পণ্যের কদর বেশি।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা জানান, ২০১১ সালের মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে সৈকতজুড়ে এ রকম মৃত শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিয়েছিল। তখন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পানিদূষণের কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক হয়েছে। আর এখন কী কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক, তা কেউ বলতে পারছেন না। সমুদ্র জরিপ বন্ধ রয়েছে ২২ বছর ধরে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আহমদ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অথবা ভূমিকম্পের কারণে সমুদ্রের তলদেশের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে শামুক-ঝিনুকের মড়ক দেখা দিতে পারে। দেশি–বিদেশি জাহাজ থেকে বর্জ্য নিক্ষেপের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। কিন্তু গভীর সমুদ্রে গিয়ে এর কারণ অনুসন্ধানের মতো জলযান মৎস্য বিভাগের নেই।
সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ‘সমুদ্রের পানির গুণাগুণ পরিবর্তন হওয়ার কারণে শামুক-ঝিনুকের মড়ক হতে পারে। ২০১১ সালে শামুক-ঝিনুকের মড়ক অনুসন্ধান করে এ রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে এখন কী কারণে পানির গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’
এনামুল হক জানান, শামুক-ঝিনুক সমুদ্রের তলদেশে পাথুরে এলাকায় থাকে। তাই সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ ও উখিয়া উপকূলে মৃত শামুক-ঝিনুক ভেসে আসছে বেশি। এসব এলাকার সৈকত পাথুরে হওয়ায় শামুক–ঝিনুকের সংখ্যাও বেশি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, সাগরের তলদেশে শামুক–ঝিনুকের মড়কের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন